
বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর চালিয়েছে। সকালে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি বাড়ির ভেতরে থাকা লোহার জিনিসপত্র খুলে নিচ্ছেন, এবং অনেকে ভাঙচুরের দৃশ্য দেখতে ভিড় করেছেন। বাড়ির দরজা, জানালা, লিফট ইত্যাদি খুলে নেওয়া হচ্ছে, এবং বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন অনেকে।
ফেসবুকে ঘোষিত বুলডোজার কর্মসূচির প্রেক্ষিতে গতকাল রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জড়ো হতে শুরু করেন। রাত ১০টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।
এর আগে, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।
সন্ধ্যায় ‘ছাত্র-জনতা আন্দোলন’ নামে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পোস্ট করা হয়। একটি পোস্টে বলা হয়, হাজারো ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকেই খুনি হাসিনার বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র-জনতার উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হবে। আরেক পোস্টে বলা হয়, খুনি আসলে লাইভে, জনতা যাবে ৩২-এ।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সে সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এছাড়া, ২০২৪ সালে স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।