১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুল-কলেজ থেকে বাদ পড়ছে শেখ হাসিনার নাম

শেয়ার করুন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও পরিবর্তন করা হবে। শিক্ষা ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছে এবং নাম পরিবর্তনের কারণসহ প্রস্তাবনা পাঠাবে। পরে নীতিমালার আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হবে।

গত অক্টোবর মাসে উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত হয় যে, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হবে। সেই আলোকে গত ১২ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদে শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন নামকরণ করা হবে এলাকা ও বাংলাদেশের নাম অনুসারে।

এছাড়া, সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের নামে থাকা সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে। তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করবে এবং নাম পরিবর্তনের কারণসহ প্রস্তাবনা পাঠাবে। পরে নীতিমালার আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হবে।

তালিকা করার ক্ষেত্রে পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তার নামে থাকা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নামও পরিবর্তন করা হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থাকলে সেগুলোর নামও পরিবর্তন করা হবে। এরপর আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতা, মন্ত্রী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধরা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মাসুদ আকতার খান বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে বিষয়টি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে তার মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে তালিকা করার জন্য ডিসি ও ইউএনওদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

জানা গেছে, সারাদেশে গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নামে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়গুলো। উচ্চ শিক্ষা ও মাধ্যমিক বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। স্ব স্ব দপ্তরগুলো ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে। কোথাও কোথাও ডিসিরাও কাজ শুরু করেছেন। সব শেষ করে মার্চ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে ডিসিদের।

উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের নামে থাকা সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে। তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করবে এবং নাম পরিবর্তনের কারণসহ প্রস্তাবনা পাঠাবে। পরে নীতিমালার আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হবে।

দপ্তরগুলোর সূত্র মতে, তালিকা করার ক্ষেত্রে পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তার নামে থাকা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নামও পরিবর্তন করা হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থাকলে সেগুলোর নামও পরিবর্তন করা হবে। এরপর আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতা, মন্ত্রী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধরা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মাসুদ আকতার খান   বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে বিষয়টি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে তার মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে তালিকা করার জন্য ডিসি ও ইউএনওদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রী ও স্থানীয়পর্যায়ের শীর্ষনেতাদের নামে থাকা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার তালিকা প্রস্তুত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক- এডিসি (শিক্ষা)। তার সঙ্গে কাজ করবেন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার। একইভাবে উপজেলাপর্যায়ে ইউএনও’র নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে শিক্ষা অফিসার, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও থাকবেন। তারা ওই জেলায় ৫ আগস্টের আগে যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে কমিটির কাছে উপস্থাপন করবে। কমিটি সব বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রতিষ্ঠানের পাশে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অভিযোগ-মামলার তথ্য, কী কারণে নাম পরিবর্তন করতে হবে তার ব্যাখ্যাসহ পরিবর্তিত নাম কী হতে পারে— এমন সব তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন পাঠাবে।

 

শেয়ার করুন