
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, এই রায় একটি ঐতিহাসিক ন্যায়বিচারের উদাহরণ। বিবৃতিতে জনগণকে শান্ত, সংযত ও দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। রায়-পরবর্তী সময়ে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা, সহিংসতা বা আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনমনে আবেগ সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে দেবে না। অরাজকতা বা বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
রায়ে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ ছিল; যার মধ্যে ৩টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও ১টিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বারবার উল্লেখ করেছেন, শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ছিলেন। মামলায় বাকি আসামি দুইজন হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
সিএনআই/২৫