১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিবেশ রক্ষা করে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার আহ্বান ইউনূসের

শেয়ার করুন

প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে প্রভাবমুক্ত রেখে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বিমান পরিবহন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত তা শৃঙ্খলায় না আনলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “পরিবেশের ক্ষতি না করে কাজ করতে হবে। নদীকে আঘাত করা যাবে না, পানি আমাদের সম্পদ—এটি শান্ত রাখতে হবে।”

বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যেখানে সড়ক, রেল, নৌ ও বিমানপথের সমন্বিত উন্নয়ন কাঠামো তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বিদ্যমান অবকাঠামোর সঠিক ব্যবহার ও সীমিত সংস্কারের মাধ্যমে যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন সম্ভব।

ইউনূস বলেন, “এই পরিকল্পনা একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছে। এখন বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। উন্নয়ন পরিকল্পনায় কেবল অভ্যন্তরীণ নয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগকেও গুরুত্ব দিতে হবে।”

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “ছোট কিছু সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে অনেক অঞ্চলকে জাতীয় যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব।”

বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে, তাই এসব বন্দরকে কেন্দ্র করে কার্যকর সড়ক সংযোগ জরুরি।

বৈঠকের সার্বিক আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন।

শেয়ার করুন