১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইফতারে যে বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখবেন

শেয়ার করুন

 

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার হলো শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই ইফতারে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি, যাতে আমরা সুস্থ ও উদ্যমী থাকতে পারি এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারজনিত সমস্যাগুলো এড়াতে পারি। রমজানে ক্লান্তি এড়াতে ও ভালোভাবে ইবাদত করতে ইফতারে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

১. ধীরে ধীরে খান ও খাবারের স্বাদ গ্রহণ করুন

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“যখন তোমাদের কেউ রোজা ভাঙবে, তখন সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, কারণ তা বরকতময়। যদি তা না পাওয়া যায়, তাহলে যেন সে পানি দিয়ে ইফতার করে, কারণ তা পবিত্র।”
(সুনান আত-তিরমিযী ৬৯৫)

সঠিকভাবে ইফতার উপভোগ করতে দ্রুত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ইফতার শুরু করুন খেজুর, এক গ্লাস পানি ও এক বাটি ফল দিয়ে। এরপর মাগরিবের নামাজ আদায় করে ধীরে ধীরে বাকি খাবার গ্রহণ করুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে এবং শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে।

২. ভাজা খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন

ভাজা খাবার যেমন—সমুচা, পেঁয়াজু, বেগুনি ইত্যাদি খাবার রমজানে খুব জনপ্রিয় হলেও এগুলো অস্বাস্থ্যকর ও উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত। পরিবর্তে বেকিং ও এয়ার ফ্রাইংয়ের মতো স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি ব্যবহার করুন। এতে ফ্যাট ও ক্যালোরির পরিমাণ কমে এবং শরীরের জন্য উপকারী হয়।

৩. প্রোটিন নিশ্চিত করুন

অনেক সময় ইফতারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকলেও প্রোটিনের অভাব থাকে। অথচ প্রোটিন শরীরকে দীর্ঘক্ষণ উদ্যমী ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের ইফতারে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, যেমন—

প্রাণিজ উৎস: মুরগি, মাছ, ডিম
উদ্ভিদভিত্তিক উৎস: ডাল, ছোলা, মটরশুটি, বিন

এতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে এবং রমজানে শক্তি ধরে রাখা সহজ হবে।

৪. চিনিযুক্ত শরবতের পরিবর্তে পানি পান করুন

রমজানে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য চিনিযুক্ত শরবত বা জুস পান করা লোভনীয় মনে হতে পারে। তবে এতে উচ্চমাত্রার চিনি ও ক্যালোরি থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই এর পরিবর্তে পানি পান করুন। স্বাদ বাড়াতে পানিতে লেবুর টুকরা, পুদিনা পাতা বা তাজা ফল মেশাতে পারেন।

রমজানে ইফতার শুধু একটি খাবারের সময় নয়; এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ করলে আমরা সুস্থ থাকব এবং ইবাদতেও মনোযোগ দিতে পারব। তাই এবার রমজানে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং ইফতারকে বরকতময় ও পুষ্টিকর করুন!

 

শেয়ার করুন