
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বিচার বিভাগের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এক ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত বিচারমন্ত্রী রুত্তাফন নাওয়ারাতের মধ্যে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকটিকে দুই দেশের বিচার বিভাগীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বৈঠকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ অনুযায়ী গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে থাই বিচারমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি বিচার ব্যবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি, সক্ষমতা উন্নয়ন, এবং তথ্যপ্রযুক্তির সংযোজনের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী বিচার নিশ্চিতের প্রচেষ্টা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
আলোচনায় দুই দেশের বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে বিচারকদের প্রশিক্ষণ, আইন গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে বিচার প্রশাসনে প্রযুক্তিনির্ভর সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
থাইল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী রুত্তাফন নাওয়ারাত বাংলাদেশের বিচার বিভাগের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে আইন, বিচার ও প্রশাসন খাতে নিয়মিত জ্ঞান বিনিময়ের প্রস্তাব দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সহযোগিতা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বৈঠকের শেষে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা বিচার বিভাগীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে যৌথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে নীতিগত ঐকমত্যে পৌঁছান। এতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা বিনিময়ের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বিচার বিভাগের এ সহযোগিতা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক আইনি কাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এটি শুধু বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়াবে না, বরং ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে আরও সহজলভ্য করবে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বর্তমানে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য ব্যাংকক সফরে রয়েছেন। তিনি আগামী ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সিএনআই/২৫