
শীতের শেষ, বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম
শীত মৌসুম শেষ হতে থাকায় রাজধানীর বাজারে সবজির দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ কয়েকটি সবজির সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে। তবে বাজারে নতুন কিছু গ্রীষ্মকালীন সবজিও আসতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, যেসব সবজির সরবরাহ কমেছে, সেগুলোর দাম কিছুটা বেড়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কিছু শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমেছে, যার ফলে দামও বেড়েছে। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম আগের তুলনায় ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শিম ও বেগুনের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে অন্যান্য সবজির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।
আজকের বাজার দর:
শীতকালীন সবজি:
শিম: ৩০-৫০ টাকা/কেজি
টমেটো: ২৫-৩০ টাকা/কেজি
বেগুন: ৬০-৮০ টাকা/কেজি
কাঁচামরিচ: ৬০ টাকা/কেজি
শসা: ৫০-৭০ টাকা/কেজি
মিষ্টি কুমড়া: ৪০-৫০ টাকা/কেজি
পেঁপে: ৪০ টাকা/কেজি
মূলা: ৩০ টাকা/কেজি
লাউ (পিস): ৫০-৬০ টাকা
কচুর লতি: ৮০-১০০ টাকা/কেজি
গ্রীষ্মকালীন সবজি:
করলা: ৮০ টাকা/কেজি
ঢেঁড়স: ১২০ টাকা/কেজি
বরবটি: ১৪০ টাকা/কেজি
ধুন্দুল: ৮০ টাকা/কেজি
চিচিঙ্গা: ৮০ টাকা/কেজি
সাজনা: ২৪০ টাকা/কেজি
ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া
রামপুরা বাজারে সবজি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, “বাজারে এখনও শীতের সবজি থাকায় দাম তুলনামূলকভাবে কম। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে বিচিওয়ালা শিম ৪০ টাকা কেজি কিনেছি, আজ কিনতে হলো ৫০ টাকায়। টমেটোও গত সপ্তাহে ২০-২৫ টাকা ছিল, আজ ৩০ টাকা কেজিতে নিতে হয়েছে।”
আরেক ক্রেতা শাহীনুল আলম বলেন, “শীতের শেষ দিকে সবজির দাম বাড়াটা স্বাভাবিক। তবে সামনে রমজান আসছে, ফলে চাহিদা বাড়লে দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। রোজায় বাজার সহনীয় রাখতে সরকারের উচিত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।”
বিক্রেতাদের মতামত
সবজি বিক্রেতা মো. রাসেল মিয়া বলেন, “শীতকালে সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকে। কিন্তু শীত বিদায় নিলে দাম আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। এখনও বাজারে পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজি আছে, তাই দাম সহনীয়। তবে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও পেঁয়াজপাতার সরবরাহ কমে গেছে, তাই দামও বেড়েছে। ঢেঁড়স, ধুন্দুল, চিচিঙ্গার মতো গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, তবে এগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি।”
রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি
ভোক্তাদের মতে, রমজানের সময় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সরকারকে আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। রমজানের আগে বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে যেন অস্বাভাবিকভাবে সবজির দাম না বাড়ে, সে বিষয়ে নজরদারি প্রয়োজন।