
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আজ শনিবার আরও ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল সরকার। এর বিনিময়ে হামাস মুক্তি দিচ্ছে ৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে।
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের সহায়তাকারী সংগঠন প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস পৃথক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রিজনার্স মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে ৩৩৩ জন গাজার বাসিন্দা, যাদের অধিকাংশকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি সেনা অভিযানের সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাকি ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।
আজ মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি জিম্মিরা হলেন সাশা ত্রোউফানভ, সাগুই দেকেল-শেন ও আয়ার হর্ন। তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় জিম্মি হয়েছিলেন। হামাস এই তিনজনের নাম আগের দিন ইসরায়েল সরকারকে জানিয়েছে।
আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র হাজেম কাসেম তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, মুক্তি প্রক্রিয়া ‘যথাযথ পদ্ধতিতে’ সম্পন্ন হবে, যা ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি ও ইসলামের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যা ১৫ মাস ধরে চলতে থাকে। এতে ৪৮,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন, আহত হন ১,১১,০০০-এর বেশি, এবং গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারীর চাপে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ দফায় ১৬ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যার বিনিময়ে ৭৬৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।