
লেবু নিঃসন্দেহে একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু টক খাবার। গরম ভাতের সাথে রস চেপে খাওয়া থেকে শুরু করে সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া পর্যন্ত, লেবু বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হয়। তবে এর স্বাদের পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যকর উপকারিতাও প্রদান করে। লেবু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং শরীরকে নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি লেবু যোগ করলে শরীরে কী কী উপকারিতা হতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যাল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। লেবুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গলার সংক্রমণ এবং সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২. লেবু অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
লেবু হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে এবং সুস্থ অন্ত্র বজায় রাখতে সহায়তা করে। এর প্রাকৃতিক অ্যাসিডিটি পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়, যা খাবার সঠিকভাবে ভাঙতে সাহায্য করে। এটি পাচনতন্ত্র থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যায় দিনে অন্তত একটি লেবু খাওয়া ভালো।
৩. বার্ধক্য রোধকারী প্রভাব
লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা তারুণ্য এবং সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, ত্বককে দৃঢ় করে এবং বলিরেখা কমায়। লেবুর ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য ব্রণ, রঞ্জকতা এবং ত্বকের নিস্তেজতা কমাতে সাহায্য করে।
৪. হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো
লেবু হৃদপিণ্ড এবং রক্ত সঞ্চালনতন্ত্রের জন্য উপকারী। এর ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ধমনীর কাঠিন্য কমায়। লেবুর ফ্ল্যাভোনয়েড খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এতে থাকা পটাশিয়াম হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৫. ওজন কমানোর জন্য ভালো
লেবু প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে এবং চর্বি বিপাক বৃদ্ধি করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা পেকটিন ফাইবার পেট ভরা অনুভূতি তৈরি করে এবং ক্ষুধা কমায়। এটি লিভারকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার জন্য উদ্দীপিত করে, বিপাক উন্নত করে এবং সাইট্রিক অ্যাসিড হজম ও পুষ্টির শোষণ উন্নত করে চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে।