
চলতি মাসেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে সিলেট-১০ ও বেগমগঞ্জ-৪ ওয়েস্ট কূপের গ্যাস। এই কূপ দুটি থেকে দৈনিক ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হতে পারে।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) আশা করছে, গ্রীষ্মে গ্যাস এবং বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা মেটাতে এই উদ্যোগ কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি অনুসন্ধানে আরও জোর দেয়া প্রয়োজন।
সিলেটের নতুন অনুসন্ধান কূপটি প্রাকৃতিক সম্পদের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত, যা দেশের জ্বালানি খাতে সংকট কমানোর ক্ষেত্রে একটি আশার সঞ্চার করেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেট-১০ কূপে তেল-গ্যাস, উভয় ধরনের জ্বালানির সন্ধান মেলে।
তবে পাইপলাইন না থাকার কারণে এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সিলেট-১০ কূপের গ্যাস এখনো জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যায়নি। নতুন পাইপলাইন বসানোর কাজে অনুমতি সংক্রান্ত বিলম্ব এবং অন্যান্য বাধা ছিল। তবে সেসব সমস্যার সমাধান হয়ে ৬ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপলাইন নির্মাণের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান জানান, চলতি মাসেই গ্যাস সঞ্চালন শুরু হবে এবং নতুন লাইনের মাধ্যমে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এছাড়া, চলতি মাসেই বেগমগঞ্জ-৪ ওয়েস্ট কূপের গ্যাসও পাইপলাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে, যা থেকে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন সম্ভব। সব মিলিয়ে, পেট্রোবাংলা চলতি মাসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে দৈনিক ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের জোগান বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে, যা গ্রীষ্মের আগেই জ্বালানি সংকট কিছুটা কমাতে সহায়ক হবে।
ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম জানান, সিলেট-১০ এবং বেগমগঞ্জ-৪ ওয়েস্ট কূপের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি ঘাটতি কিছুটা মেটানোর সুযোগ রয়েছে। যদিও বড় ধরনের পরিবর্তন হবে না, তবে সংকট বাড়তে দেয়া যাবে না। এজন্য আরও বেশি কূপ খনন করতে হবে।
পেট্রোবাংলা সিলেট-১০ কূপের গ্যাসের সম্ভাবনা দেখে, সেখানে নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা করেছে।