১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার দাভোস সফর গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ছিল

শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এটি একটি ঐতিহাসিক সফর। তিনি জানান, সভায় প্রধান উপদেষ্টা ৪৭টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল আলম জানান, পোশাক শিল্পের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “গার্মেন্টস শিল্পে এক্সপোর্ট কমেছে কি না? আজকের একটি পত্রিকায় ৫১টি ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে ফ্যাক্টরি বন্ধ ও খুলে যাওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সরকার এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আমাদের এক্সপোর্টের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। সেপ্টেম্বরে এক্সপোর্ট বেড়েছে ৭ শতাংশ, অক্টোবর-নভেম্বরে যথাক্রমে ১৬-১৮ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব ফ্যাক্টরি মালিক পালিয়ে গেছেন, তাদের কারণে আমাদের ওপর বোঝা পড়েছে। তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গেছেন, শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন। তবে আমাদের এক্সপোর্ট বাড়ছে, এবং এর মাধ্যমে চাকরি সৃষ্টি হচ্ছে।”

প্রেস সচিব আরও বলেন, “পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনা একটি ধীর প্রক্রিয়া, তবে সরকারের জন্য এটি একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার। সেন্ট্রাল ব্যাংক, টাস্কফোর্স এবং অ্যাসেট রিকভারি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ১১টি টিম বিশ্বব্যাপী কাজ করছে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন পাচ্ছি।”

শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, “পাচার করা টাকা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের টাকা। শেখ হাসিনার সরকার এসব অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রফেসর ইউনুসও আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিষয়ে কথা বলেছেন।”

 

শেয়ার করুন