
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবনে শপথ গ্রহণের পর, হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি গাজার যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে কথা বলেন।
গাজার যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে ট্রাম্পের অভিমত
ট্রাম্প বলেন, গাজার যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী নন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত নই। এটা আমাদের যুদ্ধ নয়, তাদের যুদ্ধ।”
গাজার ভবিষ্যৎ অবকাঠামো নিয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি
ট্রাম্প গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “গাজা সমুদ্রের কাছাকাছি একটি অসাধারণ জায়গা। সেখানে আবহাওয়া চমৎকার। আমি মনে করি, জায়গাটিকে নিয়ে অসাধারণ কিছু করা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “গাজা উপত্যকার বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হলেও এটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারে।”
ইসরায়েলকে সমর্থন এবং ফিলিস্তিনিদের অবস্থান
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজার বড় অংশ ধ্বংস হয়। ট্রাম্প মনে করেন, ইসরায়েল এই যুদ্ধে এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “ইসরায়েল তাদের সুরক্ষা বজায় রাখবে।”
ট্রাম্প তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই বাইডেন প্রশাসনের সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিগুলোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের প্রসঙ্গ
রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষ বন্দি বিনিময় শুরু করেছে।
যদিও এই চুক্তি বাইডেন প্রশাসনের দেওয়া রূপরেখার ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়িত হয়। ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, ইসরায়েলকে তিনি সবসময় পূর্ণ সমর্থন দেবেন।
গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে গাজার পুনর্গঠন এবং ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি নতুনভাবে উঠে এসেছে। তবে গাজার যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।