
মালয়েশিয়ার প্রতি বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর মাধ্যমে শ্রমিকরা সহজে দেশে ফিরতে ও প্রয়োজন অনুযায়ী আবার মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। একইসঙ্গে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজে যোগ দিতে না পারা ১৮,০০০ বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওসমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। (সূত্র: বাসস)
হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে বৈঠক করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার আরেকটি বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, গত অক্টোবর ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে শ্রমিক সংক্রান্ত প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, মালয়েশিয়া শিগগিরই বাংলাদেশি শ্রমিকদের নতুন দল পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
২০২৫ সালে আসিয়ান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানান অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার এবং ভবিষ্যতে পূর্ণ সদস্য হিসেবে সমর্থন দেওয়ার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে, ২০২৫ সালে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন চেয়েছেন তিনি।
মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে মালয়েশীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং কারখানা স্থানান্তরের বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করা সম্ভব।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, বাংলাদেশ কুয়ালালামপুরে চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ প্রক্রিয়া (বিসিএম) এবং ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পঞ্চম যৌথ কমিশন বৈ