
ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত, তবে শাস্তি এড়ালেন
‘অর্থের বিনিময়ে তথ্য গোপন’ করার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে বিচারক তাকে কোনও শাস্তি দেননি, ফলে তিনি সহজেই তার প্রেসিডেন্সিয়াল দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) আল জাজিরা ও ভয়েস অব আমেরিকা পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের অভিযোগে প্রায় দুই মাস ধরে বিচার চলে। প্রতিটি অভিযোগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও বিচারক হুয়ান এম. মার্চান কোনো শাস্তি আরোপ করেননি। ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা চার বছরের কারাদণ্ড পেতে পারতেন। কিন্তু বিচারক সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মামলার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
মামলার পটভূমি
মামলার সূত্রপাত ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাম্প ওই সময় স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্নো তারকাকে $১৩০,০০০ ঘুষ দেন সম্পর্কের তথ্য গোপন রাখতে। ট্রাম্প এই অর্থের লেনদেন ব্যবসায়িক নথিতে গোপন করেন, যা আইনবিরুদ্ধ।
ট্রাম্প সবসময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ এবং তার সুনাম নষ্ট করতে পরিচালিত।
বিচারকের মন্তব্য
বিচারক মার্চান বলেন, “যেকোনো আসামির ক্ষেত্রে শাস্তি আরোপের আগে আইনি সুরক্ষা এবং সাংবিধানিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যে সুরক্ষা পাবেন, তা অন্য সব বিষয়কে ছাড়িয়ে গেছে।”
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ট্রাম্প বলেন, “এটি রাজনৈতিক হয়রানি। আমার সুনাম নষ্ট করতে এই মামলা চালানো হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “জনগণ সত্য জানে এবং সেই কারণেই তারা আমাকে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত করেছে।”
বিশেষ দৃষ্টিকোণ
ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। বিষয়টি দেশটির রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য:
ট্রাম্পের দাবি, জো বাইডেন ও তার প্রশাসন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলাটি পরিচালনা করেছে। তবে বিচারক তার মামলার বাতিলের আবেদন নাকচ করে দেন।