১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা ইসরায়েলের, গাজায় আরও ২১ নিহত

শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গতকাল আরও ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ভোর থেকে চলা এই হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

অন্যদিকে, লেবানন ও ইয়েমেনে ইসরায়েলের চালানো হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে। আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ চালিয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে সানার কাছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, হোদেইদাহ ও রাস ইসার বন্দর রয়েছে।

লেবাননের দক্ষিণেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবাননের সঙ্গে “যুদ্ধবিরতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলোর জেনারেটরের জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে, যা রোগীদের জন্য “বিপর্যয়কর পরিস্থিতি” তৈরি করতে পারে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং লক্ষাধিক আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকায় এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বর্বর আক্রমণে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ অসংখ্য ভবন ধ্বংস হয়েছে।

ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের কারণে গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

গাজার জনগণ এখন খাদ্য, পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটে রয়েছে। ইসরায়েলের এই আক্রমণের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তাকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রেক্ষাপট:

৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে হামাসের এক নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার এই মানবিক সংকট বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

 

শেয়ার করুন