১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্যায়কারীদের ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত

শেয়ার করুন

অন্যায়কারীদের ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের দেড় দশকের স্বৈরাচারী শাসকের পতন ঘটেছে। যারা স্বৈরশাসক, তারা শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্রদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে। শুধুমাত্র ছাত্ররাই গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়াতে পারেন। রাজনীতিবিদদের সেই সময় অনেক কিছু ভাবতে হয়—পরিবার, সম্পদ এবং সামাজিক অবস্থানের কথা। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়েন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, “ন্যায় ও সততা ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। যারা অন্যায় এবং অপরাধের পরিকল্পনা করছেন, তাদের শেখ হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু ক্ষমতা হারায়নি, তাদের অপরাধের কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছে। অপরাধীদের জন্য পালানোই শেষ পরিণতি।”

মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদের সভাপতিত্বে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. মোরশেদ আসিফ হাসান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার আবুল হাসনাত মো. শামীম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খান মনিরুল ইসলাম, মহিলা দলের জেলা সভাপতি শাহিদা আক্তার, বিএনপি নেতা খান মতিয়ার রহমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

সংবর্ধিত অতিথি ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। এখানে কোনো অন্যায় বা জুলুমের জায়গা থাকবে না। যারা অন্যায় করেন, তাদের শেখ হাসিনার পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার রাজনৈতিক অধ্যায় আজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে, তা সবার জন্য শিক্ষণীয়।”

কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে, তবে সামনে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, যাতে বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারে।”

ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের জন্ম বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে। তিনি গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি, পিসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জাপানের তোয়ামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন।

 

শেয়ার করুন