১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫০টির বেশি দেশে সার্ভিস দিচ্ছে শরীফের এসইও কোম্পানি

শেয়ার করুন

Upgraph: বাংলাদেশের মাটিতে তৈরি, বিশ্বজয়ী এসইও কোম্পানি

বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হলেও, শরীফ সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠিত Upgraph আজ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও সেবা প্রদান করছে। গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে জায়গা করে নেওয়ার এই সাফল্য শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্যও এক বিরাট অনুপ্রেরণা।

শুরুর গল্প

শরীফ সিদ্দিকী, একজন উদ্যমী তরুণ উদ্যোক্তা, ১১ বছরের এসইও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে Upgraph প্রতিষ্ঠা করেন। তার লক্ষ্য ছিল এমন একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড তৈরি করা, যা এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য একটি নাম হয়ে উঠবে।

প্রতিষ্ঠার শুরুতে শরীফ একাই পুরো দায়িত্ব পালন করতেন। তবে তার নেতৃত্বে দলটি দ্রুতই বৃদ্ধি পায়। আজ Upgraph-এর সঙ্গে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পেশাদারদের একটি দক্ষ দল।

সেবা এবং সফলতা

Upgraph বিভিন্ন ধরণের এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

পে-পার-ক্লিক (PPC)

ওয়েব ডিজাইন

লোকাল এসইও

Upgraph এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের শতাধিক ক্লায়েন্টের সাথে সফলভাবে কাজ করেছে।

শরীফ সিদ্দিকীর ভিশন

শরীফ সিদ্দিকী বলেন, “এসইও ইন্ডাস্ট্রি ৬৪ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল বাজার। তবে আমরা পিছিয়ে আছি কারণ আমরা নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছি না।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমার লক্ষ্য শুধুমাত্র Upgraph-কে সফল করা নয়, বরং তরুণ প্রজন্মকে নতুন টেকনিক শেখার জন্য এবং দক্ষতা অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করা।”

আন্তর্জাতিক সফলতার কারণ

Upgraph-এর সাফল্যের পেছনে রয়েছে:

ক্লায়েন্টদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলা

উচ্চমানের সেবা প্রদান

নতুন টুল এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের আপডেট রাখা

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

Upgraph-এর বর্তমান লক্ষ্য ৫০টি দেশের সেবা প্রদান ছাড়িয়ে ১০০টি দেশে কার্যক্রম বিস্তৃত করা। শরীফ সিদ্দিকী বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোরও গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে, যদি তারা মানসম্মত সেবা এবং দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে।

Upgraph এখন শুধু একটি কোম্পানি নয়; এটি একটি উদাহরণ যে বাংলাদেশ থেকেও বিশ্বমানের ব্র্যান্ড তৈরি করা সম্ভব।

 

শেয়ার করুন