
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের “মার্চ ফর ইউনিটি” কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর শহীদ সাহারিয়া হাসানের বাবা আবুল হাসানের বক্তব্যের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা হয়।
পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে “মার্চ ফর ইউনিটি” সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশটি বিকেল তিনটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কার্যত শুরু হয় চারটায়। তবে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে এসে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দেন।
মার্চে অংশ নেন আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা, যাদের মধ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ, সার্জিস, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সামান্তা শারমিন, এবং আরিফ সোহেল উল্লেখযোগ্য। আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও শহীদ পরিবারের সদস্যরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল যে, ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে “জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র” প্রকাশ করা হবে। তবে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ঘোষণাপত্র প্রকাশের পরিবর্তে “মার্চ ফর ইউনিটি” কর্মসূচি পালন করা হবে।
সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা এবং রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখতে এই ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে।”