
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ নিয়ে বাংলাদেশ যে চিঠি ভারতকে দিয়েছে, তা পর্যালোচনা করছে দেশটি। বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, চলমান আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাঠানো অনুরোধপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ভারত শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ লক্ষ্যে সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করে যাবে।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির বিষয়ে কোনো জবাব ভারতের পক্ষ থেকে আসেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নোট ভারবাল আকারে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে চিঠিটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, তবে এত দ্রুত উত্তর প্রত্যাশাও করা হচ্ছে না।
গত বছর ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর বাংলাদেশ দু’দফা প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানালেও ভারত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বছরের আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশ তৃতীয় দফায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠি পাঠায়। এতে উল্লেখ করা হয়, বিস্তারিত বিচার প্রক্রিয়া শেষে ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছে, তাই দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
রায়ের পর ভারত একটি বিবৃতিতে জানায়, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে।
সিএনআই/২৫