
উপদেষ্টা পরিষদ গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫-এর খসড়া নীতিমালা অনুমোদন করেছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস করা হয়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন প্রণয়ন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
গণভোটে জনগণকে একটি মাত্র প্রশ্নে হ্যাঁ বা না ভোট প্রদানের মাধ্যমে মতামত জানাতে হবে। প্রশ্নে উল্লেখ থাকবে, আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) ২০২৫ এবং সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের প্রতি সম্মতি জানাচ্ছেন?
প্রস্তাবিত বিষয়গুলো হলো—
-
নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী গঠন হবে।
-
দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন হবে; উচ্চকক্ষে সাংবিধানিক সংশোধনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন প্রয়োজন।
-
নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ ৩০টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে।
-
অন্যান্য জুলাই সনদে বর্ণিত সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতির আলোকে কার্যকর হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধ্যাদেশ পাসের মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের রূপরেখা নিশ্চিত হলো।
সিএনআই/২৫