১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলের অবহেলায় বৃত্তি পরীক্ষায় অংশহীন ১০ শিক্ষার্থী

শেয়ার করুন

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না—অভিভাবকরা এমন অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের অবহেলার কারণে। দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়েও শেষ মুহূর্তে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার শিল্পীর অভিভাবক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রায় এক দশক পর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে—এ খবর জানা সত্ত্বেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শ্রেণি শিক্ষক পরীক্ষার্থীদের নাম সংগ্রহ করলেও অনলাইন নিবন্ধন করা হয়নি। নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকরা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, বৃত্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত চিঠি বিদ্যালয়ে পৌঁছালেও প্রধান শিক্ষক বা অন্যান্য শিক্ষক কেউ অভিভাবকদের বিষয়টি জানাননি। নোটিশ বোর্ড বা শ্রেণিকক্ষেও কোনো ঘোষণা ছিল না। ফোনে যোগাযোগ করলে প্রধান শিক্ষক রেজিস্ট্রেশনের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

অভিভাবকরা জানান, পরীক্ষার প্রস্তুতিতে তাদের মেয়েরা অতিরিক্ত পড়াশোনা করেছে, বই কিনেছে—কিন্তু বিদ্যালয়ের অবহেলায় সুযোগ হারাল। শিক্ষার্থী জান্নাতী, মুশফিরাত, জিসা, তানসির, রোশনি, আরোবী, ইমা ও রুমাইয়াসহ সবাই একই গ্লানি প্রকাশ করেছে।

প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, অফিস সহকারীকে নোটিশ দিতে বলা হলেও তা আর দেওয়া হয়নি। নিবন্ধনের সময়ও খুব কম ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম শেখ বলেন, সময়মতো পদক্ষেপ নিলে এমন ঘটনা ঘটত না—এ ঘটনায় গাফিলতি রয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে; তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, ২০–২৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলেছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোর্ডের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি; এখন আর নিবন্ধন খোলা সম্ভব নয়।

সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন