১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হচ্ছে ‘গোল্ডেন টিকিট’যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

শেয়ার করুন

 

 

যুক্তরাজ্য সরকার আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ দিয়েছে। দেশটি বিদ্যমান সুরক্ষা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি ব্যাপক নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। অনিয়মিত অভিবাসন কমানো এবং ডানপন্থি রাজনীতির উত্থান মোকাবিলাই এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেনমার্কের কঠোর আশ্রয়নীতির আদলে তৈরি এ পরিকল্পনা শনিবার রাতে প্রকাশ করেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার নেতৃত্বাধীন সরকারটি বর্তমানে অভিবাসনবিরোধী দল রিফর্ম ইউকের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চাপে রয়েছে।

মাহমুদ বলেন, আমি যুক্তরাজ্যের আশ্রয়প্রার্থীদের ‘গোল্ডেন টিকিট’ ব্যবস্থা শেষ করব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘আধুনিক সময়ের সবচেয়ে বড় আশ্রয়নীতির সংস্কার’ বলে বর্ণনা করেছে। আগামী সোমবার সংসদে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে, রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন এই পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কঠোর নীতি মানুষকে যুক্তরাজ্যে আসা থেকে বিরত করতে পারবে না। যেসব শরণার্থী কঠোর পরিশ্রম করে ব্রিটেনের জন্য অবদান রাখেন, তাদের নিরাপদ ও স্থায়ী জীবন গড়ার সুযোগ থাকা উচিত।

বর্তমানে শরণার্থীরা পাঁচ বছরের জন্য অনুমোদন পায়। এরপর তারা স্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতি ও পরে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে। নতুন নীতিতে এই অনুমতি কমিয়ে ৩০ মাস করার কথা বলা হয়েছে। এর নিয়মিত পুনর্মূল্যায়ন হবে এবং পরিস্থিতি নিরাপদ হলে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা হবে।

এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদি আবাসনের আবেদন করতে শরণার্থীদের ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ব্রিটেনে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে এক লাখ ৯ হাজার ৩৪৩ জন আশ্রয়ের আবেদন করেছে। এ সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।

সরকার বলেছে, নতুন সংস্কার অনিয়মিত অভিবাসনের আকর্ষণ কমাবে এবং যারা দেশে অবস্থান করছে তাদের সরানো সহজ হবে। ২০০৫ সালের আইনে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের আবাসন ও সাপ্তাহিক আর্থিক সহায়তা প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতা বাতিল করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ফলে সহায়তা দেওয়া হবে ‘বিবেচনার ভিত্তিতে’, অর্থাৎ কাজ করতে সক্ষম বা নিজেদের খরচ বহন করতে পারা ব্যক্তিদের সহায়তা নাও পেতে পারে।

শেয়ার করুন