১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে রাজধানীতে বাড়তি সতর্কতা

শেয়ার করুন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণার আগে রাজধানীজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরাও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী মামলার রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়টি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি।

এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ অনলাইনে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। রোববার সকালে মগবাজার ইস্কাটন এলাকাতেও ককটেল বিস্ফোরণে একজন আহত হন।

অফিস, আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক নিয়মে চললেও রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে টহল ও অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে কাজ করছে বিজিবি।

গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারাও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটি গোষ্ঠী পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দলও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। রোববার আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ফ্যাসিবাদের পক্ষে কোনো নাশকতার সুযোগ দেওয়া হবে না। আমরা মাঠে থাকব।”

এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

প্রসিকিউশন জানিয়েছে, রায় ঘোষণার পর শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল নোটিশ জারির আবেদন করা হবে। পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ সোমবার রায় ঘোষণা করবেন।
সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন