
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের প্রভাব স্পষ্টভাবে বাড়তে শুরু করেছে। হিমালয় থেকে নেমে আসা ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশা মিলিয়ে চারপাশ এখন কুয়াশার চাদরে মোড়া। মাঠে–ঘাটে সকাল থেকেই শিশিরের ছোঁয়া, আর বাতাসে বইছে কনকনে শীত।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে আসে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এর আগের দিন শুক্রবার সকাল ৯টায়ও একই ধরনের তাপমাত্রা—১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস—রেকর্ড করা হয়। কয়েকদিন ধরে এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যেই ওঠানামা করছে, ফলে স্থানীয়দের মধ্যে শীতের অনুভূতি ক্রমেই বাড়ছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় ঘন কুয়াশার কারণে আশপাশ ঢেকে আছে। মাঝে মাঝে সূর্যের আলো কুয়াশা ভেদ করলেও ঠান্ডা বাতাসের তীব্রতা কাটছে না। ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির যেন শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। দুপুরে কিছুটা উষ্ণতা অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর আবার নেমে আসে তীব্র শীত, আর স্থানীয়রা লেপ–কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন।
ভৌগোলিক কারণে তেঁতুলিয়ার কাছে অবস্থান করছে পৃথিবীর দুটি উচ্চতম পর্বতমালা—হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। তাই উত্তর দিক থেকে নেমে আসা ঠান্ডা বাতাস শীতকালে এই অঞ্চলে দ্রুত তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় এখানে শীত পড়ে আগে এবং প্রভাবও বেশি থাকে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইতে থাকা শীতল বাতাসের প্রভাবেই জেলার তাপমাত্রা দ্রুত কমছে। কয়েকদিন ধরেই শীতল আবহাওয়া বিরাজ করছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে বলেও তিনি জানান।
সিএনআই/২৫