
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক বাহিনী very শিগগিরই মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন, “এটা খুব শিগগিরই ঘটতে যাচ্ছে — গাজা এখন ভালোভাবে এগোচ্ছে।’’
ট্রাম্প শুক্রবার আনাদোলু এজেন্সিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক দেশ ও মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং বর্তমানে কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতিকে তিনি প্রশংসা করেছেন। তিনি আরও বলেন, কাজাখস্তান ইসরায়েল ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের পথে আছে এবং আশা প্রকাশ করেন যে মধ্য এশিয়ার আরও দেশ এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে, যা শান্তিচেষ্টায় নতুন গতি আনবে।
এক বিবৃতিতে আলজাজিরা জানিয়েছে, প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীর মূল লক্ষ্য হবে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখা এবং ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার জন্য প্রস্তুত খসড়া নথিতে গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়োজিত করার এবং প্রায় ২০ হাজার সদস্যের একটি স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই বাহিনীর মেয়াদ দুবছর ও প্রয়োজন হলে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ’—অর্থাৎ বল প্রয়োগের ক্ষমতা—ও রাখার উল্লেখ আছে।
রয়টার্সের উদ্ধৃত খসড়া অনুযায়ী, প্রস্তাবটি মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক অংশীদারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাহিনীর একটি বড় শর্ত হলো হামাসের নিরস্ত্রীকরণ; হামাস এ পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এছাড়া খসড়ায় বলা হয়েছে, এই বাহিনী হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও আক্রমণাত্মক অবকাঠামো ধ্বংসেরও দায়িত্ব পাবে।
ট্রাম্প সিরিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের সম্পর্ক ও নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে মন্তব্য করেও বলেন, সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো প্রगতি দেখা গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কিছু দেশের অনুরোধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে তাদেরকেও একটি সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
সিএনআই/২৫