১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবি শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে মাহির থানায় হস্তান্তর

শেয়ার করুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মো. মাহির রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত জোবায়েদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মাহিরকে শনাক্ত করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোরে মাহিরের মা নিজে এসে তাকে বংশাল থানায় হাজির করেন এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আরমানিটোলার একটি টিউশন সেন্টারে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রদল আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ খুন হন। আরমানিটোলার একটি বাড়ির সিঁড়িতে তার রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত জানান, তারা পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করতে চেয়েছিলেন—শিক্ষার্থী বর্ষা, তার বাবা-মা, বর্ষার প্রেমিক মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু নাফিস। কিন্তু বংশাল থানার ওসি মামলাটি গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক ছিলেন।

ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “যাদের নাম তারা দিতে চায়, সেই অনুযায়ী মামলা নেব। শুধু পরামর্শ দিয়েছি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে আরমানিটোলার ‘রওশন ভিলা’ বাড়ির সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দুজন তরুণকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে, তবে তাদের মুখ শনাক্ত করা যায়নি।

হত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে অবস্থান নিয়ে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে এবং কিছু সময় আগুন জ্বালিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিহত শিক্ষার্থীর স্মরণে দুই দিনের শোক ঘোষণা করেছে এবং ২২ অক্টোবরের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব আয়োজন স্থগিত করেছে।

সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন