১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়া থেকে ৩০৯ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন

শেয়ার করুন

লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসছেন ৩০৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক। গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রিপলি থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার নিরলস প্রচেষ্টা এবং দেশটির জাতীয় ঐক্যমতের সরকারের সার্বিক সহায়তায় এই বৃহৎ সংখ্যক অভিবাসীর প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে।

ত্রিপলীতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) কাজী আসিফ আহমেদ অভিবাসীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া ও অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

কাজী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘অভিবাসীদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে দূতাবাস দিনরাত পরিশ্রম করেছে। এটি প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরের প্রত্যাবাসন, যা লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, দূতাবাস আরও দুটি ফ্লাইটের মাধ্যমে অতিরিক্ত ছয় শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর জন্য লিবিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

প্রত্যাবাসনের অংশ হিসেবে অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত, বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করেছে দূতাবাস। এ কাজে তারা লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখেছে।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লিবিয়া সরকারের মিডিয়া টিমকে বলেন, ‘স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের জন্য নিবন্ধিত অভিবাসীদের দেশে ফেরানোর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে লিবিয়া সরকারের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে লিবিয়া সরকারের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’

প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিরা আগেই স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে দূতাবাস তাদের আবেদন যাচাই করে ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে।

এই উদ্যোগকে অভিবাসন ও মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট মহল একটি সফল মানবিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন