
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের আর্থিক সক্ষমতা অনুসারে ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়ে এ চিঠি দেওয়া হয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ (ব্লকেড) করে বিক্ষোভ করছেন। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে শাহবাগ এলাকা এখন উত্তাল। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলমান কর্মসূচি থেকে শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন করেন শিক্ষকরা। পরে দুপুর ২টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শাহবাগে উপস্থিত শিক্ষকরা জানান, ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না। আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
এর আগে, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ও পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে গত সোমবার সকাল থেকে সারা দেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে; তবে এই ঘোষণা ৫ অক্টোবর প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন। এরপর ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়, যাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকা করা হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাদের মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ১ হাজার টাকার বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হতো, যা সাম্প্রতিক সময়ে ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আগে শিক্ষকরা বছরে দুটি উৎসব ভাতা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে পেতেন; তবে গত মে মাসে বাড়ানোর পর এখন তারা এবং অন্যান্য এমপিওভুক্ত কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পাচ্ছেন।