
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাছের আড়ত এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অপরাধ চক্রের সদস্যরা। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্ত হন এই ব্যবসায়ী।
অপহরণের শিকার মো. মকবুল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আলমপুরা গ্রামের আব্দুল বাছিদের ছেলে। সোমবার (৬ অক্টোবর) ভোর ৬টায় অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর পর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকা থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে স্বজনরা।
আহত মকবুলের ভাই মো. শাহ আলম বলেন, আমার ভাই গরুর ভুঁড়ি ব্যবসা করে। তিনি প্রতিদিনের মতো ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গরুর ভুঁড়ি কিনে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় বিক্রি করতেন। আজ (সোমবার) ভোরের দিকে আমার ভাই যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তের পাশে আসামাত্রই একটি কালো মাইক্রোবাসে থাকা চার থেকে পাঁচজন আমার ভাইয়ের চোখ মুখ বেঁধে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা আমার ভাইকে গাড়ির ভেতরে হাতুড়ি দিয়ে বাম হাতে এবং বাম পায়ের গোড়ালিতে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তখন তারা আমার ভাইয়ের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
শাহ আলম বলেন, অপহরণকারীরা আমার মোবাইল ফোনে কল করে মুক্তিপণ চাইলে আমরা অনেক অনুরোধ করে আমার ভাইয়ের বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ওই অপহরণকারীদের জন্য ৬০ হাজার টাকা বিকাশ করি। অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা পেয়ে আমার ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোনারগাঁও মদনপুর বাস স্ট্যান্ডের পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। আমার ভাই একটু সুস্থ হলেই এ ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করবো।
এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক জানান, সোমবার বিকেলের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।