১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার মৃত্যুদণ্ড

শেয়ার করুন

কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলাকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অনুপস্থিত অবস্থায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক উচ্চ আদালত। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই রায় ঘোষণা করা হয়।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পূর্ব কঙ্গোতে তৎপর বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম ২৩-কে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে কাবিলাকে রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা, নির্যাতন, যৌন সহিংসতা এবং বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আদালতের প্রধান বিচারপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোসেফ মুতোম্বো কাতালাই বলেন, সামরিক ফৌজদারি আইনের ৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ অক্টোবর) রাশিয়া টুডের (আরটি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পাশাপাশি কাবিলাকে কঙ্গো রাষ্ট্র ও ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রায় ৩৩ বিলিয়ন থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে হতে পারে বলে জানা গেছে।

২০০১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কঙ্গো শাসন করেন জোসেফ কাবিলা। চলতি বছরের মে মাসে সিনেট তাঁর সংসদীয় দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে নিলে জুলাই থেকে আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে কাবিলা আদালতে হাজির হননি এবং অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বর্তমানে তাঁর অবস্থান অজানা।

এদিকে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম ২৩ এখনো পূর্ব কঙ্গোর খনিজসমৃদ্ধ প্রদেশগুলোতে দখল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ খনিগ্রাম ও শহর, যেমন গোমা ও বুকাভু দখল করে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই অভিযানে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কঙ্গোতে মৃত্যুদণ্ডের আইন থাকলেও ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর অনানুষ্ঠানিক স্থগিতাদেশ বলবৎ রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, গত দুই দশকে দেশটিতে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।

আফ্রিকার আরও অনেক দেশ ইতিমধ্যেই মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। ২০০০ সালের পর থেকে গ্যাবন (২০১০), কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও মাদাগাস্কার (২০১৫), চাদ (২০২০), সিয়েরা লিওন (২০২১), মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও জাম্বিয়া (২০২২) মৃত্যুদণ্ডের বিধান তুলে দিয়েছে।

শেয়ার করুন