
মেহেদী হাসান, রাঙামাটি প্রতিনিধি: জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ ৫ দফা গণদাবি বাস্তবায়নের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪ টায় ইসলামিক সেন্টার থেকে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বনরুপা পুলিশ বক্স এসে মিলিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ছাত্র-যুবক ও সাধারণ জনগণ অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি পৌরসভার আমীর মো মানইনুদ্দীন, সভা সঞ্চালনা করেন পৌর জামাতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহ, সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জমায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল আলীম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৯৯ নং আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পার্থী এ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ, জেলা নায়েবে আমীর জাহাঙ্গীর আলম,শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি রবিউল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, শিবিরের জেলা সেক্রেটারি ইরফানুল হক, পৌর জামায়াতের সকল কর্ম পরিষদের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
৫ দফা দাবিগুলো হলো
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন।
২. দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
৩. মানুষের মৌলিক অধিকার—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
৪. পাহাড়ি ও সমতলসহ সারাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা।
৫. রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প নেই। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। দেশের বর্তমান অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ গণতান্ত্রিক নির্বাচন।”
তাঁরা আরও বলেন, জনগণের অধিকার ও দাবি উপেক্ষা করলে সারাদেশে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে উঠবে। বক্তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৫ দফা দাবিকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে বলেন, এই আন্দোলন সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ রক্ষার আন্দোলন।
বিক্ষোভকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করে নানা স্লোগান দেন। “জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন চাই”, “৫ দফা দাবি মানতে হবে”—এমন স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর।
সমাবেশ শেষে বক্তারা ঘোষণা দেন, দাবিগুলো পূরণ না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।