
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বিকেল ৩টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.৪৬ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) থাকায় অর্থাৎ বিপৎসীমার উপরে থাকায় চতুর্থবারের মতো বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি খুলে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে জলকপাট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।
এর আগে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপৎসীমা ওপর অতিক্রম করায় অর্থাৎ ১০৯ ফুটের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় চলতি মাসের গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খোলা হয়েছিল। পরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জলকপাট সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। এর সাত দিন পর হ্রদে পানির উচ্চতা কমে আসায় গত ১২ আগস্ট সকাল ৯টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট।
চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় তৃতীয়বারের মতো ছয় ইঞ্চি করে কেন্দ্রের ১৬টি গেট খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে মোট ৪১ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। বর্তমানে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২০ মেগাওয়াট।