১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন শিগগিরই খনিজ চুক্তি মেনে নেবে, আশা ট্রাম্পের

শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে ইউক্রেন খুব দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের বিষয়ে একটি প্রস্তাবিত খনিজ চুক্তি গ্রহণ করবে। তিনি বলেছেন, এই বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা তহবিলের কিছু ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে পারে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা।

প্রস্তাবিত চুক্তি ও ট্রাম্পের মন্তব্য

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন,
“আমরা আশা করছি, স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে, যা আমাদের ৪০ বা ৫০ হাজার কোটি ডলার ফিরে পেতে সাহায্য করবে।”

তিনি আরও বলেন,
“এটি একটি বড় চুক্তি। তবে ইউক্রেনীয়রা এটি চায়, এবং এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা সেখানে উপস্থিত থাকব। আমাদের অর্থ ফেরত আসবে। এটি আরও আগেই সম্পন্ন হওয়া উচিত ছিল।”

যুক্তরাষ্ট্র কেন ইউক্রেনের খনিজ চায়?

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে বৃহত্তর আলোচনার অংশ হিসেবে বিরল খনিজ সম্পদের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ অস্ত্র, বৈদ্যুতিক গাড়িসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।

বিশ্বে ১৭ ধরনের বিরল প্রাকৃতিক খনিজ রয়েছে, যেগুলোর একটি বড় অংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো চীনের প্রভাব কমাতে ইউক্রেনের খনিজের দিকে নজর দিচ্ছে।

ইউক্রেনের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর মধ্যে রয়েছে—
গ্রাফাইট
লিথিয়াম
টিটানিয়াম
বেরিলিয়াম
ইউরেনিয়াম

ট্রাম্প-জেলেনস্কির টানাপোড়েন

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির তীব্র বাদানুবাদের পর সামনে এসেছে।

ট্রাম্পের দাবি, ইউক্রেনই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেছে। এর জবাবে জেলেনস্কি বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রভাবিত ‘অপতথ্যের জগতে’ বাস করছেন।”

এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে জেলেনস্কিকে “নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসক” বলে মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইউক্রেনের খনিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটির বিরল খনিজের অপ্রতুলতা রয়েছে। চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পশ্চিমারা ইউক্রেনের খনিজ শিল্পে বিনিয়োগ করতে চায়। তবে এটি ইউক্রেনের জন্য কৌশলগত সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।

 

শেয়ার করুন