
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যার ফলে সেখানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪৮,৩৩০ জনে পৌঁছেছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আগুনের চারপাশে বসে থাকা ফিলিস্তিনিদের হৃদয়বিদারক চিত্র উঠে এসেছে। ১৫ মাসেরও বেশি সময় পর গত জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তবে এরপরও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে, যা প্রাণহানির সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আনাদোলু বার্তাসংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও ৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৮,৩২৯ জনে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যারা এই সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত। এ পর্যন্ত হামলায় আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,১১,৭৫৩ জন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পরিস্থিতি
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিন-পর্যায়ের এই চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, এবং এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।