
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলা
প্রায় ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে—
1. প্রথম মামলা:
শ ম রেজাউল করিম ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৮ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার টাকা নিজের দখলে রেখেছেন।
তার নামে থাকা ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
2. দ্বিতীয় মামলা:
শ ম রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা, দুদক আইনের ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে যা পাওয়া গেছে
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে দুদক শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত শুরু করে। অনুসন্ধানে উঠে আসে—
তার নামে বরিশালের নাজিরপুর, পিরোজপুর ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পদ রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন “প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন” প্রকল্পের আওতায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
তার নামে একটি বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা এবং দেশ-বিদেশে সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক ইতোমধ্যেই সম্পদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।