
রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে এক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় সরাসরি জড়িত আলফাজ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে পুলিশ রবি রায় (২২) ও মো. মোবারক হোসেন (২৫) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, “দম্পতিকে যারা সরাসরি কোপ দিয়েছে, তাদের মধ্যে আলফাজ একজন। আরেকজন এখনো পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত?
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। সেখানে উপস্থিত মেহেবুল হাসান ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ইপ্তি এই বেপরোয়া চালনার প্রতিবাদ করলে মোটরসাইকেল আরোহীরা তাদের হুমকি দেয় ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করে।
এরপর হামলাকারীরা ফোন করে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনে। কিছুক্ষণ পর ৪-৫ জন দেশীয় অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে এসে মেহেবুলকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। নাসরিন আক্তার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আঘাত করা হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় রবি ও মোবারককে গ্রেপ্তার করে এবং আহত দম্পতিকে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ভাইরাল ভিডিওতে নৃশংস হামলার চিত্র
এই হামলার একটি ১৩ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী ও এক পুরুষকে সড়কের পাশে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দুই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করছেন। পরে হামলাকারীদের রামদা হাতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে দেখা যায়।
মামলা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার ইপ্তি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজন পলাতক রয়েছে এবং তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
এই হামলা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি উঠেছে।