১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে নারী পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শেয়ার করুন

বান্দরবান পৌরসভায় নিজ বাসা থেকে রুম্পা দাশ নামে এক নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বনরুপা পাড়া ২নং গলির বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রুম্পা দাশ বান্দরবান সদর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর এলাকার সাধুর দোকান ১নং ওয়ার্ডের সন্তোষ দাশের মেয়ে। তার স্বামী সৌরভ কুমার ঢালী পুলিশের মেকানিক্যাল বিভাগের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্ত্রী রুম্পা দাশের ঝুলন্ত মরদেহ জানালা দিয়ে দেখতে পান স্বামী সৌরভ কুমার ঢালী। পাশে ছিল তাদের দেড় বছরের সন্তান অভয় কৃষ্ণ।

সৌরভ কুমার ঢালী জানান, গত রাতে স্বাভাবিকভাবে রাতের খাবার শেষে রুম্পা সন্তানকে নিয়ে এক রুমে ঘুমাতে যান, আর তিনি অন্য রুমে ছিলেন। সকালে ডাকাডাকির পরও দরজা বন্ধ পেয়ে পেছনের জানালা দিয়ে উঁকি দিলে তিনি রুম্পার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দিলে, দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, “এটি আপাতদৃষ্টিতে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। রুম্পা দাশ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার কথাও ছিল।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাউছার। তিনি নিহতের মা ঝর্ণা দাশের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানান, লাশের সুরতহাল পরীক্ষা করা হবে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ ছাড়া বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া নূর লিয়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে রুম্পা দাশ তার ফেসবুকে দুটি পোস্ট করেন। একটিতে লিখেছিলেন, “ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মানুষ।” আর অন্যটিতে লিখেছিলেন, “একদিন পৃথিবীর সব মায়া ত্যাগ করতে হবে।”

 

শেয়ার করুন