১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে জুলাই অভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালানো হয়েছিল

শেয়ার করুন

বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান: সাবেক সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের অভিযোগ জাতিসংঘের

সাবেক সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “এই নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত ও সমন্বিত কৌশল, যার উদ্দেশ্য ছিল জনতার বিরোধিতা দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা।”

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ জ্ঞাতসারে এবং সমন্বয়ে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার, আটক ও নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

ভলকার তুর্ক আরও বলেন, “আমাদের সংগ্রহ করা সাক্ষ্য ও প্রমাণ থেকে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।”

জাতীয় নিরাময় ও বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি অনুসন্ধানী দল পাঠায়। এ দলে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, ফরেনসিক চিকিৎসক ও অস্ত্র বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যারা মরণঘাতী ঘটনাগুলোর বিষয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করেন।

ভলকার তুর্ক বলেন, “বাংলাদেশের জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম পথ হলো—গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে সংঘটিত ভয়াবহ অন্যায়গুলোর সত্য উদ্ঘাটন, নিরাময় ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতা রোধ করা।”

তিনি আরও বলেন, “আমার কার্যালয় এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় জবাবদিহিতা ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।”

 

শেয়ার করুন