১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে লাগবে ৫৩০০ কোটি ডলার : জাতিসংঘ

শেয়ার করুন

টানা ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা, পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫৩ বিলিয়ন ডলার

টানা ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন ও হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার পুনর্গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলজুড়ে চলমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।

জাতিসংঘের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের জন্য ৫৩.১৪২ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে প্রথম তিন বছরে স্বল্পমেয়াদে প্রয়োজন প্রায় ২০.৫৬৮ বিলিয়ন ডলার।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার অর্থনীতি ২০২৪ সালে ৮৩ শতাংশ সংকুচিত হবে এবং বেকারত্ব বেড়ে ৮০ শতাংশে পৌঁছাবে। এছাড়া, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দারিদ্র্যের হার ২০২৩ সালের শেষে ৩৮.৮ শতাংশ থাকলেও ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৭৪.৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

গুতেরেস জোর দিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে মানবিক সংকট মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “তাৎক্ষণিক ও স্বল্পমেয়াদে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।”

২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ৬.৬ বিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তার আবেদন করেছিল, যার মধ্যে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার গাজার ২১ লাখ মানুষের জরুরি চাহিদা পূরণে বরাদ্দ করা হয়েছে।

এদিকে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ, আর ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।

তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি, যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির পক্ষে প্রস্তাব দিলেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ গাজায় তার নৃশংস হামলা চালিয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

 

শেয়ার করুন