১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত বন্ধ ছিল’

শেয়ার করুন

 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপের কারণে তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাইকোর্ট মামলাটির তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে এই টাস্কফোর্সকে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তে বাধা দেওয়া হয়েছিল, যার কারণে মামলার অগ্রগতি হয়নি।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মামলার বাদী নওশের রোমান ও সাগর-রুনির ছেলে মাহির সারওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন।

হাইকোর্টের নির্দেশে গত বছরের অক্টোবর মাসে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। কমিটিতে একজন অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা, পুলিশের একজন প্রতিনিধি, সিআইডির একজন প্রতিনিধি এবং র‌্যাবের একজন প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এই টাস্কফোর্স গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাংবাদিক দম্পতির হত্যা মামলার তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। আদালত তাদের ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন এবং মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মামলার বাদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।

 

শেয়ার করুন