
অ্যাসিড রিফ্লাক্স এড়াতে সকালের নাস্তায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
আপনার কি বুকের হাড়ের কাছে বা পেটের উপরের অংশে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়? মাথা ঘোরা বা বিভ্রান্ত লাগছে? যদি এমনটি হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সম্ভবত অ্যাসিড রিফ্লাক্সে ভুগছেন। এটি এক সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা তখনই ঘটে যখন পেটের অ্যাসিড খাদ্যনালীর নিচের অংশে প্রবেশ করে এবং জ্বালা সৃষ্টি করে।
আপনার খাদ্যাভ্যাস এর একটি বড় কারণ হতে পারে। কিছু খাবার পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে, যা সকালের নাস্তায় খেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এড়াতে সকালের নাস্তায় কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত—
১. লেবুজাতীয় ফল ও টমেটো
কমলা, লেবু, টমেটোসহ অন্যান্য সাইট্রাস ফল খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বেড়ে যেতে পারে। এগুলোতে থাকা সাইট্রিক ও ম্যালিক অ্যাসিড পেটে অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে, যা বুক জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে।
২. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার
মাখন, পনির, ভাজা খাবার বা অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং পেটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৩. চা ও কফি
সকালে খালি পেটে চা বা কফি পান করলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি করে। তাই প্রথমে নাস্তা করে তারপর চা বা কফি পান করাই উত্তম।
৪. বিস্কুট ও কুকিজ
চা বা কফির সঙ্গে বিস্কুট বা কুকিজ খেলে পেটে অত্যন্ত অ্যাসিডিক পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এসব খাবারে থাকা পরিশোধিত ময়দা ও চিনি হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৫. ভাজা খাবার
খালি পেটে ভাজা খাবার খেলে তা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং পাকস্থলীর আস্তরণে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স এড়ানোর উপায়
ছোট ছোট অংশে বারবার খাবার খান।
খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না, বরং কিছুক্ষণ বসে থাকুন বা হাঁটাহাঁটি করুন।
ঘুমানোর অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।
খাওয়ার পরপরই ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলেই আপনি স্বস্তি পেতে পারেন। তাই সচেতন থাকুন এবং সুস্থ থাকুন!