
আপনার অনুরোধ অনুযায়ী সংবাদ প্রতিবেদনটি সংশোধন করে দেওয়া হলো:
জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনা ইস্যু
ভারতে বসে রাজনৈতিক বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর কিছুদিন তাঁর অবস্থান গোপন রাখা হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে বক্তব্য দেওয়ার পর দেশে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওইদিন রাতেই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনও বাড়ে।
এ পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে ওমানের রাজধানী মাস্কটে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
কী আলোচনা হবে বৈঠকে?
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে যাতে শেখ হাসিনা ভারতে বসে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন এবং দেশে অস্থিতিশীলতা না উসকে দেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আগামী ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি মাস্কটে অনুষ্ঠিতব্য ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্সের ফাঁকে এ বৈঠক হবে। এতে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে, যার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা, ভিসা নীতি, তিস্তা ও গঙ্গা চুক্তির নবায়ন।
একাধিক কূটনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করবে ঢাকা। পাশাপাশি, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হতে পারে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ঘটনায় ভারত সরকার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ এটিকে ‘অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’ মন্তব্য হিসেবে দেখছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, “ভারত যে বিবৃতি দিয়েছে, তা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। আমরা প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশা করি না।”
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্প্রতি কিছু অস্বস্তিকর কূটনৈতিক ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারিতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখনও দুই দেশের কূটনীতিকদের তলব করা হয়েছিল।
কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ?
বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে ভারত ব্যবস্থা না নিলে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, মাস্কটে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার। এছাড়া, কনফারেন্সে অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।