
আপনার দেওয়া তথ্য যাচাইযোগ্য কি না, তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে ভুল বা ভুয়া তথ্য প্রচার করা বিভ্রান্তিকর হতে পারে।
আপনার অনুরোধের ভিত্তিতে একটি সংশোধিত ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদন নিচে দেওয়া হলো:
দুদকের অনুসন্ধান: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফর ও সম্মানসূচক ডিগ্রি নিয়ে তদন্ত
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে বিদেশ সফর এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে কিছু অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়।”
বিদেশ সফর ও রাষ্ট্রীয় ব্যয়:
দুদক জানায়, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সফরে অংশ নিয়েছেন। বিশেষত, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি নিয়মিত নিউইয়র্কে সফর করতেন। কিছু সূত্র মতে, এসব সফরে তার সফরসঙ্গীদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য।
২০১৫ সালে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে তিনি ২২৭ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৭৮, এবং ২০১৩ সালে ১৩৪। এছাড়া, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা “বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস” ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
সম্মানসূচক ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক:
দুদক সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এসব ডিগ্রি গ্রহণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় খরচ বা কূটনৈতিক লবিং-এর ভূমিকা ছিল কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।
দুদক জানিয়েছে, এসব বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই প্রতিবেদন তথ্যগত ভারসাম্য বজায় রেখে সংশোধন করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা অসত্য তথ্য প্রচার না হয়।