১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ত্রসহ সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সায়েম গ্রেফতার

শেয়ার করুন

পটিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

চট্টগ্রামের পটিয়ায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু সাদাত মো. সায়েম (৪৩) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং মৃত নুরুল আলমের পুত্র।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকা থেকে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুরের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

অস্ত্র উদ্ধার ও স্বীকারোক্তি

জিজ্ঞাসাবাদের সময় সায়েম স্বীকার করেন, তার কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ইলিয়াছ খার বাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে দেশীয় তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি) উদ্ধার করা হয়।

অপরাধে সম্পৃক্ততা ও মামলা

পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, আবু সাদাত মো. সায়েম দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র সংরক্ষণ ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পটিয়ায় মাদ্রাসা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তার প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, পটিয়ার বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত সহিংসতায় অস্ত্র সরবরাহের পেছনেও তার নাম উঠে এসেছে।

তার বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আদালতে হাজিরকরণ ও রিমান্ড আবেদন

গ্রেফতারের পর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং পুলিশ তার রিমান্ডের আবেদন জানায়। তদন্তের স্বার্থে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া ও পুলিশের অবস্থান

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সায়েম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিল, যার ফলে স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। তবে তার গ্রেফতারকে এলাকাবাসী অবৈধ অস্ত্র ও সহিংসতা দমনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, “অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ যদি সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে।”

 

শেয়ার করুন