১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা উপত্যকা দখল করবে যুক্তরাষ্ট্র, বলছেন ট্রাম্প

শেয়ার করুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিকানা নেবে। তিনি গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে “ধ্বংসস্তূপ” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে। ট্রাম্প আরও বলেন, প্রয়োজনে গাজায় মার্কিন সেনা পাঠানো হবে।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে গাজার দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে। তিনি গাজা উপত্যকাকে “মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা” হিসেবে উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। তবে, এই প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর হিসেবে সমালোচিত হয়েছে। হামাস ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পরিকল্পনাকে জাতিগত নিধন হিসেবে অভিহিত করেছে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা এই ধারণার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যদিও তিনি এই ধরনের দখলদারিত্বের আইনি বা বাস্তবিক দিক নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এছাড়া, মিসর ও জর্ডান গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের গ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের পেছনে ২০২৩ সালে ইসরায়েলি একটি পরিকল্পনার প্রতিফলন দেখা যায়, যেখানে গাজাবাসীদের মিসরের সিনাই উপত্যকায় স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছিল। তবে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

শেয়ার করুন