১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরস্বতী পূজা আজ

শেয়ার করুন

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ অনুষ্ঠিত হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ধর্মীয় উৎসবটি প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয়। আজকের এই পবিত্র তিথিতে অগণিত ভক্ত, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্দির ও মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

রোববার সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হয়ে আজ সোমবার সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে শেষ হবে। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন মণ্ডপ, মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে সরস্বতী পূজার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পূজা একটি চমৎকার উৎসবে পরিণত হয়। এবছরও জগন্নাথ হলের কেন্দ্রীয় উপাসনালয়সহ মাঠে প্রায় ৭০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এখানকার পূজা মণ্ডপগুলোর মূল আকর্ষণ হলো চারুকলার শিক্ষার্থীদের নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সরস্বতী প্রতিমা।

এছাড়াও ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, শাঁখারী বাজার, তাঁতি বাজার, বনানী ও রমনা কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। সকালে পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আরতি ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পালিত হবে। এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও থাকবে। ঢাক-ঢোল, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ।

রোববার পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে সরস্বতী প্রতিমা বিক্রির ব্যস্ততা দেখা গেছে। বিভিন্ন আকৃতি ও আকারের প্রতিমা নিয়ে দোকানিরা পসরা সাজিয়েছেন। স্থানীয় দোকানিরা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা নির্মাতারা তাদের তৈরি প্রতিমা বিক্রির জন্য শাঁখারী বাজারে এসেছেন। আকৃতি ও নকশার ভিত্তিতে প্রতিমার দাম এক হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঘরোয়া পূজার জন্য ছোট আকৃতির প্রতিমাগুলোর চাহিদাই বেশি। এছাড়া পূজার অন্যান্য উপকরণ যেমন ফুল, বেলপাতা, ফল ইত্যাদিও বিক্রি হচ্ছে।

সরস্বতী পূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি আনন্দদায়ক ও পবিত্র উৎসব। এই উৎসব শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরও প্রতীক।

শেয়ার করুন