১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

শেয়ার করুন

স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েন বাজার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন– উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৩৫), তার বাবা মো. জিন্নাহ (৬০), নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মো. রুবেল (২৬), নগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাহানি হোসেন সুজন (৩০), শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম (৪৫), বিএনপি নেতা আজগর আলী (৬৫), ছাত্রদল নেতা মো. সোহেল (২৫), শুভ (২২) ও জুয়েল রানা (২০)।

অপর পক্ষের আহতদের মধ্যে রয়েছেন– ছাত্রদল নেতা হৃদয় (২৫), উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. সানা উল্লাহ (৫৫), নাসিম (২৭), ডা. মো. সাইদুল ইসলাম (৫৫) ও মো. সাইফুল ইসলাম (৫২)। এদের মধ্যে হৃদয়, রুবেল ও জিন্নাহকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান স্থানীয় কয়েন বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্য একটি দোকান ভাড়া নেন। এতে বাধা দেন নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। রোববার বিকেল থেকে কয়েন বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনা চলতে থাকে। পরে সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন