১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুরোধে হাসপাতালে ফিরে গেলেন আহতরা

শেয়ার করুন

হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুরোধে আহতরা হাসপাতালে ফিরে গেলেন
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে হাসপাতালে ফিরে গেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুরোধে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে যমুনার প্রধান ফটক ছেড়ে আহতরা হাসপাতালে ফিরে যান।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা সাতটি দাবি পেশ করেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ তাদের মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি প্রতিটি দাবির বিষয়ে বিশ্লেষণ করেন এবং কোন দাবিটি কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলো কীভাবে আদায় করা যায় তা নিজ বক্তব্যে তুলে ধরেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, তিনি চলতি সপ্তাহের মধ্যে আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়ে সচিবালয়ে যাবেন। এ সময় তিনি আহত তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন বলেও জানান। এছাড়া, সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে সেই তিনজন প্রতিনিধি চূড়ান্ত করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে, রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে অবস্থান নেন আহতরা। এর কয়েক মিনিট পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে আহতরা প্রথমে তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

এ সময় আহতরা বলেন, সরকারকে আগে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর সংস্কার, দল গোছানো ও নির্বাচনের বিষয়ে এগোতে হবে। তারা আরও বলেন, হাসনাত, সারজিস ও সমন্বয়করা আহতদের পরিবারের খোঁজখবর না নিয়ে রাজনৈতিক দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। আহতদের পুনর্বাসনের কথা সরকার বললেও বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি।

এদিকে, আহতদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা দেওয়া যায়নি, এটা সরকারের ব্যর্থতা। এজন্য সরকারের আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি, সচিব ও আমলারা দায়ী। তিনি বলেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা দেওয়া যায়নি, এজন্য আমি নিজে ব্যথিত।

তিনি আরও বলেন, আহতদের পুনর্বাসন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নানা জায়গায় তাদের কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখানে গ্রুপ, উপগ্রুপ তৈরি হয়েছে এবং একটি দালাল শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে। একপক্ষ আরেকপক্ষকে দোষারোপ করছে। কেউ বলছে আমরা আসল, আবার কেউ বলছে ওরা ভুয়া। এ ধরনের ঘটনার কারণে সরকার বিব্রত। অবিলম্বে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে করবে। আপনাদের এ দাবি আমি সরকারের কাছে জানাচ্ছি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের হাতে কিছু নেই। আমরা কিছু করতে পারি না। আপনারা যে চিকিৎসা পান না, এটা সত্য। এর জন্য দায়ী সরকারের লোকজন। সরকার ভালোভাবে তদারকি করতে পারেনি।

শেয়ার করুন