১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিলামে উঠছে সাবেক এমপিদের ২৪ গাড়ি

শেয়ার করুন

দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল হওয়ার পর গত পাঁচ মাসে মাত্র একজন সাবেক সংসদ সদস্য শুল্ক ও কর দিয়ে একটি গাড়ি খালাস করেছেন। দুই দফা চিঠি পাঠানোর পরও অন্য আমদানিকৃত গাড়িগুলো খালাস করেননি সাবেক এমপিরা। এর ফলে চট্টগ্রাম কাস্টমস আগামী সপ্তাহে এসব গাড়ির ২৪টি নিলামে তুলবে।

এই গাড়িগুলো আমদানিতে সাবেক সংসদ সদস্যরা ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা শুল্ক ও কর পরিশোধ করেছেন, এবং মোট ২৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কাস্টমস এসব গাড়ি নিলামে বিক্রি করে যে অর্থ পাবে, তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।

গাড়িগুলোর জন্য কাস্টমস ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করেছে। প্রথম নিলামে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি দাম দিলেই কোনো ক্রেতা গাড়ি কিনতে পারবেন। এই হিসাবে, প্রতিটি গাড়ি ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দর দিলে বিক্রি হবে, এবং ২৫ শতাংশ করসহ দাম দাঁড়াবে ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এসব গাড়ির শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাস হওয়া একেকটি গাড়িতে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা সরকারের রাজস্ব এসেছে। এখন, নিলামে বিক্রি হলে প্রতিটি গাড়ি থেকে প্রায় ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় হবে এবং মোট ১৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া, কয়েকটি গাড়ি বাদে সবগুলোই নতুন মডেলের। এই গাড়িগুলোর উৎপাদন শুরু হয়েছিল, গাড়ি আমদানির ঋণপত্র খোলার পর, এবং জাপানের টয়োটা কোম্পানি এগুলো তৈরি করতে ন্যূনতম ৩-৪ মাস সময় নিয়েছে। তবে, এখন এসব গাড়ি সাবেক সংসদ সদস্যদের কাছে থাকছে না।

নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মালিকদের মধ্যে কেউ আত্মগোপনে, কেউ আবার কারাগারে আছেন। কাস্টমস সূত্র জানাচ্ছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী জুলাই মাসের মধ্যে ৫১ জন সাবেক সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলেন। এর মধ্যে ছয়জন শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি খালাসও করেন। এই ছয়জন হলেন: সৈয়দ সায়েদুল হক, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, ফয়জুর রহমান, আবুল কালাম, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ এবং গোলাম ফারুক। তাদের জন্য মোট ৫১ কোটি টাকার শুল্ক সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল।

তবে, ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর এনবিআর শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে। এর পর, ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি এ কে আজাদ ১৯ ডিসেম্বর তার আমদানি করা গাড়িটি শুল্ক পরিশোধ করে খালাস করেন। তিনি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের গাড়িটির জন্য ৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা শুল্ক ও কর দিয়েছেন, যার মূল দাম ছিল ১ কোটি ৩ লাখ টাকা।

 

শেয়ার করুন