
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন যে, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবিটি আসলে আরেকটি এক-এগারো সরকারের প্রস্তাবনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তিনি দাবি করেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের মধ্যে একটি নতুন এক-এগারো সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং গুম-খুনের বিচার না হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০০৭ সালের এক-এগারো সরকার থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান হয়েছিল, এমনটাই মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট থেকে ছাত্র-জনতা যখন রাজপথে আন্দোলন করছিল, তখন কিছু জাতীয় নেতা ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে একটি নতুন সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছিলেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ ৩ আগস্ট থেকেই সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবে না বলে অবস্থান নিয়েছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় সরকারের ধারণা কিছুদিন আগে বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছিল, কিন্তু এখন তাদের দাবিতে সেই জাতীয় সরকারের পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন যে, ছাত্ররা বর্তমান সরকার এবং এক-এগারো সরকারের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য তৈরি করেছে এবং তারা গণতন্ত্রবিরোধী কোনও ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না।
এছাড়া, নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থায় বিএনপির লোকজনই বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ পেয়েছে, এমনকি নির্বাচনী নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও সামনে আসবে। তিনি জানান, ছাত্ররা তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে জাতীয় স্বার্থে কাজ করেছে, তবে গণতন্ত্রবিরোধী কোনো পদক্ষেপকে তারা সমর্থন করবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কর্মী সমর্থকদের একটি বড় অংশই অভ্যুত্থানের পক্ষের হয়ে কাজ করতে চায়, কিন্তু তিনি বিএনপির দেশপ্রেমিক এবং ত্যাগী নেতৃত্বকে আহ্বান জানান, যেন তারা ছাত্র-জনতার সাথে ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নেয়।